বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার এনিয়াক এ ইনপুট-আউটপুটের জন্য পাঞ্চকার্ড ব্যবহার হত। একে টেলেটাইপ প্রযুক্তি বলা হয়। টেলেটাইপ যন্ত্রে ‘কী’ প্রিন্ট করা থাকতো। ডাটা ইনপুট করতে হলে সেই নির্দিষ্ট কী-হোলে কার্ড পাঞ্চ করতে হত। তারপর সেই পাঞ্চ কার্ড, কার্ড রিডারে প্রবেশ করিয়ে ডাটা পাওয়া যেতো। এই পাঞ্চকার্ড থেকে সরে আসতে আমাদের লেগেছে আরও কয়েক দশক।
১৯৬৪ সালে বেল ল্যাবস এবং এমআইটি একসঙ্গে MULTICS কম্পিউটার তৈরি করে। এই কম্পিউটারে Video Display Terminal প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। এরপর সব কিছু বদলে যায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে টাইপ করার সাথে সাথে সেটি স্ক্রিনে দেখা যেত, যার ফলে কমান্ড দেয়া, যোগাযোগ এবং কম্পিউটার কন্ট্রোল করা পূর্বের চেয়ে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের দিক থেকে সব কম্পিউটার VDT ও ইলেক্ট্রিক কিবোর্ড ইউজ করা শুরু করে।
১৯৮১ সালে আইবিএম তাদের প্রথম পিসি উন্মোচন করে। এই পিসির সাথে মডেল এম কীবোর্ডটি সংযুক্ত ছিল। এই কম্পিউটারটি বৃহৎ আকারে সফলতা লাভ করে। এর কারণ এটি সহজেই ব্যবহার করা যেত। এটি ছিল মেকানিক্যাল কিবোর্ড এবং সর্বোচ্চ মানের কন্সট্রাকশন দিয়ে তৈরি ছিল।
১৯৯০ সালের দিকে মেমব্রেন সুইচ মেকানিক্যাল সুইচকে প্রতিস্থাপন করা শুরু করে। মেমব্রেন সুইচ শব্দ কম করতো এবং হালকা ছিল, যার ফলে ল্যাপটপে ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। মেমব্রেন কিবোর্ড তৈরি করতে খরচও কম হত, যার ফলে কিবোর্ডের দামও কমতে থাকে। এরপর থেকে কিবোর্ডের ডিজাইন আরও আধুনিক হতে থাকে। বের হয় সব অদ্ভুত কিবোর্ড। মিনি কিবোর্ড, এক হাতের জন্য তৈরি কিবোর্ড, মাউস-কিবোর্ড কম্বসহ নানা ডিজাইন।