দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার ব্র্যান্ড ইশো, ভারতের অভিজাত ও বিখ্যাত ‘জয়পুর রাগস’র সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। চুক্তির অংশ হিসেবে, ইশো’র স্টোর ও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে জয়পুর রাগসের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের পণ্য। বিশ্বের ৬০ টিরও বেশি দেশে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনার পর এই প্রথম বাংলাদেশে হাতে বোনা সুন্দর রাগস ও কার্পেট নিয়ে এসেছে জয়পুর রাগস।
এই অংশীদারিত্বের আওতায়, বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্য বহনকারী লিমিটেড-এডিশন রাগসের প্রদর্শনীর আয়োজন করে উভয় ব্র্যান্ড, যার মূল আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লালবাগ কেল্লার নকশার আদলে তৈরি একটি রাগস। রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ইশো’র ফ্ল্যাগশীপ স্টোরে ১৬ এপ্রিল শুরু হয়ে পরবর্তী এক মাস পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী।
জয়পুর রাগস’র ডিরেক্টর ইয়োগেশ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক ইতিহাস রয়েছে, যা বহুকাল ধরে প্রচলিত। এই অংশীদারিত্বের ফলে আমাদের অনন্য হস্তশিল্পের মাধ্যমে সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আমরা বাংলাদেশি গ্রাহকদের নিকট তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। কারিগরদের নিপুণ কারুকাজ ও গল্পগুলো বিশ্ব দরবারে পেশ করার অনন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা জয়পুর রাগসের অন্যতম একটি লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “ইশো’র মতো নতুন অংশীদার পাওয়া এবং আমাদের কারিগর ও তাদের পূর্ব-পুরুষদের সাধারণ জীবনযাত্রার অসাধারণ গল্পগুলো বিশ্বের নিকট তুলে ধরার অনুভূতিগুলো সত্যিই ভীষণ আনন্দদায়ক।”
ইশো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রায়ানা হোসেন বলেন, “জয়পুর রাগসের সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্ব দুই দেশের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও সাদৃশ্যের প্রতীক। আমরা সর্বদা সাসটেইনেবল, ইনোভেটিভ ও এন্ট্রেপ্রেনিউরিয়াল চিন্তাধারা সম্পন্ন ব্র্যান্ডদের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপনে বিশ্বাসী এবং এভাবেই বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইশো সুনাম অর্জন করছে।” তিনি আরও বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থানীয় হস্তশিল্পীদের ক্ষমতায়নের বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল সুবিধাসমূহ এবং বিশ্বের নিকট আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত।”
জয়পুর রাগস সম্পর্কে- : জয়পুর রাগস একটি পারিবারিক ব্যবসা। প্রতিষ্ঠানটি পূর্ব-পুরুষদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং গ্রামীন হস্তশিল্পীদের প্রতিভাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে, যার ফলে আজ তাঁরা ভারতীয় হস্তশিল্পীদের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। জয়পুর রাগসের অধীনে ৪০,০০০ গ্রামীণ কারিগর কাজ করছে, যাদের ৮০% নারী। প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিষ্ঠানটি আজও হস্তশিল্পের প্রাচীন এবং নিখুঁত কৌশল ব্যবহার করে অভিজাত রাগস ও কার্পেট তৈরি করছে। ১৯৭৮ সালে মাত্র দুটি তাঁত নিয়ে জয়পুর রাগসের যাত্রা শুরু করেন প্রতিষ্ঠাতা নন্দ কিশোর চৌধুরী। আজ তাঁর বংশধরদের হাত ধরে ৭,০০০ এরও বেশি তাঁত এবং বিশ্বের ৬০ টিরও বেশি দেশে গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
ইশো সম্পর্কে- : আমরা যুগোপযোগী ও মানসম্মত ডিজাইনকে সর্বদা প্রাধান্য দেই। সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচের ডিজাইন তৈরি থেকে শুরু করে সেটি তৈরিতে পর্দার আড়ালে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, গ্রাহকদের ভিন্ন ধাঁচের, সর্বাধুনিক ও বৈচিত্র সমৃদ্ধ ফার্নিচার উপহার দিতে ইশো’র সকল কর্মীই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইশো সাধারণ কিন্তু আধুনিক, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশ-বান্ধব ফার্নিচার বাজারে সহজলভ্য করে তুলছে, যা ফার্নিচার কেনার ক্ষেত্রে দেশিয় ক্রেতাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতেও সাহায্য করছে। সাধারণ কিন্তু আধুনিক ডিজাইনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ফার্নিচার তৈরি করে কাঠের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ইশো। আধুনিক ফার্নিচারের চাহিদা ও বাজারের মজুদ পণ্যের মধ্যকার শূন্যস্থান পূরণ করাই ইশো’র মূল লক্ষ্য। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.isho.com