তিন তরুণ উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করল জেসিআই বাংলাদেশ। দুই দিনব্যাপী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’-আয়োজন থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রিয়েটিভ ইয়াং এন্টারপ্রেনিউর (সিওয়াইই) পুরস্কারের জন্য সারা দেশ থেকে আড়াই শতাধিক তরুণ আবেদন করেন। এর মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে ৫০ জনকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর আজ ৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এডুকেশনাল ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ড উদ্ভাবনের জন্য জেসিআইয়ের সিওয়াইই চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পান জেআরসি বোর্ড-এর সিইও রেদোয়ান ফেরদৌস। তাদের বোর্ডের নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত প্রকৌশলী ও জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নামে। অনলাইনে আইনি সহায়তা দেওয়ার স্টার্টআপ লিগ্যাল এক্স-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মালিহা রহমান হয়েছে প্রথম রানার আপ। রয়েল বেঙ্গল শ্রমুসের সিইও সৈয়দ শাফায়েত করিম দ্বিতীয় রানার আপ হন। পুরস্কারের অর্থ স্পন্সর করে রেডএক্স। সিওয়াই অ্যাওয়ার্ডের সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন জেসিআই এর ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল ও ন্যাশনাল ডিজিটাল কমিটির চেয়ারপারসন ফাহিম আহমেদ। সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই আয়োজনের জন্য জেসিআইকে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জেসিআই এর নানা উদ্যোগে সহযোগিদা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’-এর আহ্বায়ক ও ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির। তিনি অনুষ্ঠানের স্পন্সর, সহযোগীদের ধন্যবাদ জানান। আয়োজনটি সফলভাবে শেষ করতে জেসিআইয়ের সদস্যরা দিন-রাত এক করে কয়েকদিন থেকে কষ্ট করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পুরস্কার ঘোষণার পর বক্তব্য দেন জেসিআই ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক। তিনি আয়োজন সম্পর্কিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে আরও বড় আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনিও পৃষ্ঠপোষক ও জেসিআই সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার কথা জানান তিনি। সমাপনী আয়োজনে বক্তব্য দেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জেসিআইকে এমন আয়োজন করায় বেসিসের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শুধু স্মার্ট বাংলাদেশ মানে আইসিটি না। এখানে আরএমজি, এডুকেশনসহ অন্য সব খাত রয়েছে। এসব খাতকে একসঙ্গে কাজ করেই স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে। এটা ঠিক যে, আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সবাইকে মিলেই কাজ করতে হবে। বেসিস প্রেসিডেন্ট সবসময় জেসিআইয়ের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন। ভবিষ্যতে বেসিস জেসিআইয়ের সঙ্গে মিলে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানান তিনি। এছাড়া বক্তব্য দেন জেসিআই ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শাখাওয়াত হোসেন মামুন, জেসিআই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৌসুদ মান্নান।
