লম্বা ছুটিতে বন্ধুদের সাথে লং ট্রিপে ঘোরাঘুরি বলুন কিংবা এর্মাজেন্সিতে বাসায় ছোটখাট গেট-টুগেদার ইলেকট্রিসিটির প্রয়োজনেই বলুন, ব্যাকআপ মিনি জেনারেটর আপনার জন্যে জাঁদুর মতো কাজ করে থাকে। ব্যাকআপ মিনি জেনারেটর আজকাল অনেক ধরনের কাজের জায়গায়ও ব্যবহৃত হয় হুটহাট লোডশেডিং এর ঝামেলা থেকে বাঁচতে। কিন্তু বাজেটের মধ্যে সব থেকে ভালো মিনি জেনারেটরের খোঁজ পাওয়া সত্যিই বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর তাই আজকের লেখাটিকে আপনার মিনি জেনারেটর সম্পর্কে সব ধরনের খুঁটিনাটি তথ্যকে তুলে ধরতেই ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে জেনে নেই। ছোট কাজের মিনি পাওয়ার জেনারেটর ব্যাকআপ কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন? একটি ভালো মানের ব্যাকআপ মিনি জেনারেটর কেনার আগে নিচের এই বিষয়গুলোকে মাথায় নিয়ে তারপর প্ল্যানিং করুন।
১. প্রকারভেদ: জেনারেটর কেনার আগে মাথায় রাখবেন আপনার ঠিক কতক্ষণের জন্যে ব্যাকআপ লাগবে। আপনি চাইলে চব্বিশ ঘন্টা বা আটচল্লিশ ঘন্টার ডিজেল জেনারেটর, পেট্রোল জেনারেটর, ব্যাটারি পাওয়ার চালিত ইনভার্টার জেনারেটর ব্যবহার করতে পারেন।
২. কতঘন্টা ব্যাকআপ দেয়: কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিন জেনারেটরটি আপনাকে ঠিক কত ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। আপনার যদি চব্বিশ ঘন্টা ব্যাকআপ লাগে, তাহলে আপনি যে কোন ধরনের নরমাল ব্যাকআপের মিনি জেনারেটর কিনতে পারেন। আরও বেশি ব্যাকআপের জন্যে একটু উচ্চতর ফাংশনের ব্যাকআপ ব্যাটারি দেখতে পারেন।
৩. কার্যক্ষমতাঃ প্রত্যেক জেনারেটরের জন্য কার্যক্ষমতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কি পরিমান জ্বালানীর বিপরীতে কত বৈদ্যুতিক পাওয়ার তৈরি করতে করতে পারে। এখন বৈদ্যুতিক পাওয়ার তৈরি বিষয় মাথায় রেখে মিনি জেনারেটর নির্বাচন করতে হবে। বৈদ্যুতিক পাওয়ার যত বেশি উৎপাদন হবে ফুয়েল বা জ্বালানী তত বেশি ব্যয় হবে।
৪. চার্জিং ক্ষমতা: চতুর্থ ধাপে, আপনাকে দেখতে হবে আপনার জেনারেটরটি ঠিক কত ঘন্টা চার্জ নিতে সক্ষম। আপনার যদি কুইক বা এমার্জেন্সি ব্যাকআপ লাগে তাহলে সর্বোচ্চ ১০০০ এএমপি এর পাওয়ার ভোল্টেজের জেনারেটর বা এর চেয়েও বেশি ভোল্টেজের জেনারেটর ব্যবহার করতে পারেন।
৫. সাইজ: সাইজ মিনি ব্যাকআপ জেনারেটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কেননা আপনি কোথায় এবং জেনারেটরটি সেট করবেন এটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বাসাবাড়িতে রাখার জন্যে মিডিয়াম থেকে এক্সট্রা লার্জ জেনারেটর ই দেখতে মানানসই এবং সহজেই সংরক্ষণ করা যায়।
তবে, কর্মাশিয়াল জায়গায় ব্যবহারের জন্যে আপনি আরেকটু বেশি দামের জেনারেটর ব্যবহার করেন তাহলে খুব একটা সমস্যা হবে বলে আবার মনে হয় না। ৩. দাম: মোটামুটি বিশ থেকে চল্লিশ হাজার বাজেটের মধ্যে প্রাইমারি কাজের জন্য জেনারেটর কিনতে পারেন। এতে করে আপনার দামও সাশ্রয়ী হবে এবং অল্প পরিমান ব্যাকআপ পেতেও সমস্যা হবেনা। বর্তমান সময়ে যদিও মিনি জেনারেটর সব জায়গায় পাওয়া যায় না তাই মিনি জেনারেটরের দাম জেনে ও ক্রয় করতে পারবেন বিডিস্টল থেকে। অনলাইনে অর্ডার করলে পৌঁছে যাবে সাড়া দেশে। বিস্তারিত জানতে: https://www.bdstall.com/generator/mini-generator/