দেখতে দেখতে শুরু হলো আরেকটি নতুন বছর। নতুন এ পথচলায় চ্যালেঞ্জিং ও আকর্ষণীয় এক ঘোষণা নিয়ে হাজির হলো তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। জনপ্রিয় এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি ২০২৪ সালকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রিব্র্যান্ডিংয়ের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সম্প্রতি রিয়েলমি প্রেমীদের জন্য একটি খোলা চিঠি লেখেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্কাই লি। সেখানে তিনি ব্র্যান্ডটির নতুন স্লোগান ঘোষণা করেন, ‘মেক ইট রিয়েল’। চিঠিতে রিয়েলমি’র নতুন মিশন, ব্র্যান্ড পজিশনিং ও স্পিরিটের সঙ্গে নতুন স্লোগানটির ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে গ্রাহকদের স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে। ‘মেক ইট রিয়েল’ স্লোগানটি রিয়েলমি’র ‘ডেয়ার টু লিপ’ ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ, যেখানে তরুণ প্রজন্মের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের দৈনন্দিন লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানানসই সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে এবার আরও মনোযোগী রিয়েলমি।
আগামী পাঁচ বছরের এই রিব্র্যান্ডিং যাত্রার শুরুতে- রিয়েলমি কৌশলগতভাবে নিজের ব্র্যান্ড পজিশন ট্রেন্ডি-ভিত্তিক হতে বর্ধিত করে আরো বৃহত্তর পরিসরে বিস্তৃত করবে। রিয়েলমি এমন একটি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা কি না তরুণদের টেক-চাহিদা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি ও তা পূরণ করতে সক্ষম হয়।
তীব্র প্রতিযোগিতামূলক স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রিয়েলমি, ব্র্যান্ডটির অগ্রগামী স্মার্টফোন প্রযুক্তি বা ‘লিপ-ফরওয়ার্ড’ পারফরম্যান্স এবং ডিজাইনের মাধ্যমে দ্রুতই বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বিশ্বজুড়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজাইন নিয়ে আসার একটি কার্যকর কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে রিয়েলমি পাঁচ বছরেই তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় নিজের অবস্থান পোক্ত করেছে। এছাড়াও, পারফরম্যান্স, ফটোগ্রাফি ও ডিজাইন- এ তিনটি বিষয়ে রিয়েলমি পণ্যের অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ করতে কাজ করবে। গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করার পাশাপাশি ৩০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটি। শুভেচ্ছাবার্তা ও চিঠিতে স্কাই লি বলেন, “রিয়েলমি এখন ব্র্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি ‘অপরচুনিটি-অরিয়েন্টেড’ থেকে ‘ব্র্যান্ড-অরিয়েন্টেড’ ভাবনায় পরিবর্তন করবে এবং সামনের দিনগুলোতে এটিই হবে স্মার্টফোনটির বিকাশের কৌশলগত ভিত্তি। যেহেতু আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কেবলমাত্রই কাজ করা শুরু করেছি, তাই ব্র্যান্ডের নতুন মিশন নিয়ে আমাদের কাজ করার আরো অনেক সুযোগ রয়েছে। নতুন এই রিব্র্যান্ডিং উদ্যোগ ব্র্যান্ডের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং এটির বিস্তারে আমাদের পথ দেখাবে, যা বিশ্বের আরও বেশি অঞ্চল, বাজার, এবং তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে রিয়েলমিকে আরও কার্যকরভাবে যুক্ত করতে সাহায্য করবে।”
পাঁচ বছরের ব্র্যান্ড অ্যাসেট এবং তরুণ ব্যবহারকারীদের স্বীকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে, রিয়েলমি আগের তুলনায় ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্সের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যাতে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। শুরুটা অসম্ভব হলেও সম্ভব করতে এর মানদণ্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনন্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত তৈরির প্রচেষ্টায়, রিয়েলমি এনেছে একটি অসাধারণ প্রোডাক্ট সিরিজ। এক্ষেত্রে এর দূরদর্শী ‘সিম্পলি বেটার’ ও ‘নো লিপ, নো লঞ্চ’’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। স্মার্টফোনটির জিটি সিরিজ নেক্সট-লেভেল পারফরম্যান্স ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে স্বীকৃত, অন্যদিকে নম্বর সিরিজটি নেক্সট-জেন ইমেজিং এক্সিলেন্সকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। প্রয়োজন পূরণের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে রিয়েলমি’র সি সিরিজটি এসেনশিয়াল প্লাস হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে। স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপ তৈরির লক্ষ্য রয়েছে, যা হবে একাধারে উন্নত ও ব্যবহারকারীদের উপযোগী।