হোম রকমারীইভেন্ট মডেল রকেট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম এস্ট্রনট ক্যাম্প

মডেল রকেট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম এস্ট্রনট ক্যাম্প

শিশু-কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করতে এবং মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়ে জানানোর উদ্দেশ্যে ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর যৌথ উদ্যোগে বন্দরনগরী চট্রগ্রাম, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো
এস্ট্রনট ক্যাম্প। আজ ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগীতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসা ক্যাম্পাস সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত আয়োজনটি। আয়োজক সুত্রে জানা যায়, সারা দিন ব্যাপী উক্ত আয়োজনে ছিল এপোলো মিশন, মার্স রোভার, মুন রোভার নিয়ে স্পেস টক, সেই সাথে ছিল হাতে কলমে মডেল রকেট তৈরী, স্পেস এর আদলে রোবট তৈরী, ভি আর বেইস এস্ট্রনট ট্রেইনিং এবং কুইজ কম্পিটিশন। এর বাইরেও বিশেষ চমক হিসেবে ছিল এস্ট্রনট ফটো বুথ যেখানে শিশু-কিশোররা এস্ট্রনট ড্রেস পড়ে ছবি তুলে।

চট্রগ্রাম এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্যন্ত আনন্দের সাথে দিন ব্যাপী আয়োজনটিতে অংশগ্রহন করে।
আয়োজনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার তৌফিক সাঈদ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড.শহীদ মো: আসিফ ইকবাল এবং স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড এর একাডেমিক এডভাইজার সৈয়দ মোঃ মিনহাজ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন_”বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করার জন্য এই ধরনের ক্যাম্প আরোও বেশি বেশি দরকার বলে আমি মনে করি এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যুগপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগ
অব্যাহত থাকা জরুরী। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন_” আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। মহাকাশে কি ঘটছে, নভোচারীরা কিভাবে মহাকাশে ভেসে বেড়ায়? নভোচারীরা সেখানে কতদিন থাকে? স্পেস এক্সপ্লোরেশনে তাদের ভুমিকা কি? এই ধরনের অজানা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যেই মুলত আমাদের এই আয়োজন। আমরা মনে করি এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানার কৌতুহল আরোও বেশি বাড়বে এবং সেই জানার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে।“ আয়োজনটিতে আইটি পার্টনার হিসেবে ছিল রিভারি কর্পোরেশন এবং রোবাস্ট রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং ক্লাব পার্টনার হিসেবে ছিল চিটাগং ইউনিভার্সিটি সাইন্টিফিক সোসাইটি।

Related Articles