যাত্রা শুরু করলো ভিভোর ভি সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক লাইভ ভিডিওতে এমনটাই ঘোষণা দেয় গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। এতে অংশগ্রহণ করেন ভিভোর ভি৩০ এর শুভেচ্ছা দূত তাহসান রহমান খান। ভিডিওতে ভিভো ভি৩০ এর বিশেষ বিশেষ ফিচারসমূহ তুলে ধরা হয়। কালার চেঞ্জিং ‘পিকক গ্রিন’ এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ‘নোবেল ব্ল্যাক’ দুটি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০। আলোচনায় বিশেষ ফিচার গুলোর মধ্যে ছিল-
১৯ গুন বড় স্মার্ট অরা লাইট ৩.০ : তৃতীয় প্রজন্মের পোট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্মার্ট অরা লাইট ৩.০। এবারের অরা লাইট আকারে অনেক বড়, আকৃতিও ভিন্ন রকম। রয়েছে স্মার্ট কালার টেম্পারেচার এডজাস্টমেন্ট এবং ডিসটেন্স সেনসেটিভ লাইটিং সুবিধা। যা লো লাইট পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতে ৫০ গুণ সফট লাইট দিতে প্রস্তুত। কাছে কিংবা দূরে ছবির বিষয়বস্তু যেখানেই থাকুক না কেন দূরত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আলো পাওয়া যাবে। প্রযুক্তি এবং ফ্যাশনের সমন্বয়ে অরা লাইট এবার হয়েছে আরো স্মার্ট, আরো উজ্জ্বল।
স্মার্ট ক্যামেরা প্রযুক্তি: ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে ভিভো ভি৩০ স্মার্টফোনে। ক্যামেরাটিতে ১১৯ ০ ফিল্ড অফ ভিউতে ছবি তোলা যাবে। অর্থাৎ গ্রুপ ছবি তোলার জন্য এই ক্যামেরা প্রস্তুত করেছে ভিভো। এছাড়া ব্যাক সাইডে রয়েছে আরো ৫০ মেগাপিক্সেল ভিসিএস (ভিভো ক্যামেরা-বায়োনিক স্পেক্টার্ম) ট্রু কালার মেইন ক্যামেরা। অভিনব এই প্রযুক্তিটি ফটোগ্রাফির কালার টোন স্বাভাবিক রেখে নান্দনিক ছবি দেবে। ফ্রন্ট সাইডেও ৫০ মেগাপিক্সেল অটো ফোকাস গ্রুপ সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে ভিভো। যার ফিল্ড অফ ভিউ ৯২ ০ । নাইট পোর্ট্রেট এবং হাই রেজুলেশনের ছবি তোলার জন্য বিশেষ ক্যামেরা ফিচার রয়েছে স্মার্টফোনটিতে। পাশাপাশি লাইভ ফটো, মাইক্রো মুভি, ডুয়েল ভিউ, প্যানো, ডকুমেন্ট, স্লো-মো, টাইম ল্যাপস, সুপারমুন, এস্ট্রো, প্রো, স্ন্যাপসট, ফুড ইত্যাদি বিশেষ ফিচারেও করা যাবে দারুণ ফটোগ্রাফি।
স্টাইলিশ ডিসপ্লে: ৬.৭৮ ইঞ্চির ১.৫ কে অ্যামোলেড থ্রি-ডি কার্ভড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটিতে। যার রেজুলেশন ২৮০০ * ১২৬০। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মাল্টি টাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। সান লাইটে ব্যবহারের জন্য এতে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮০০ নিটস ব্রাইটনেস। ৭.৪৫ মি.মি আল্ট্রা স্লিম ভিভো ভি৩০ এর ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেনশন ১৬৪.৩৬*৭৫.১*৭.৪৫ মি.মি. হওয়ায় হাতে নিয়ে ব্যবহার করতে খুবই আরামদায়ক।
সুপার চার্জিং পাওয়ার: ভিভো ভি৩০ আকারে আল্ট্রা স্লিম হলেও ব্যাটারির ক্যাপাসিটিতে কোনো ছাড় দেয়নি ভিভো। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি দিয়েছে এই স্মার্টফোনে। পাশাপাশি দ্রুত চার্জের জন্য দিয়েছে ৮০ ওয়াটের টাইপ সি ফ্লাশ চার্জার। ভি সিরিজের মধ্যে এটাই প্রথম স্মার্টফোন, যার ব্যাটরি সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন ৩। অপর দিকে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে সর্বাধুনিক ফানটাচ ওএস ১৪। ১২ জিবি র্যাম থাকলেও এক্সটেন্ডেট প্রযুক্তির কারণে আরো ১২ জিবি পর্যন্ত র্যাম বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। সাথে ২৫৬ জিবি রম কাজের গতি করবে সুপার স্মুথ। দাম ৫৯,৯৯৯ টাকা।
ভিভো প্রসঙ্গে ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন। স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।