বাংলাদেশের জনপ্রিয় বৃহৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও শুরু করেছে ক্যাম্পাস এলিভেশন প্রোগ্রামের দ্বিতীয় ব্যাচ! দেশের যেকোনো
প্রান্তের শিক্ষার্থীরা এখানে লিডারশিপ স্কিল বাড়ানোর, প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করার আর ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
২০২৩ সালে প্রথম ব্যাচের সফলতার পর, ২০২৫ সালের ১৭ই এপ্রিল আয়োজন করা হয় দ্বিতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন। হাইব্রিড ফরম্যাটে হওয়ায় দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরা সহজেই এতে অংশ নিতে পেরেছেন। ৫,০০০-এরও বেশি আবেদন থেকে টাফ কম্পিটিশনের মাধ্যমে ১০৫ জনকে সেকেন্ড রাউন্ডে নেয়া হয়, আর সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে ২৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থী অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত হন।
নতুন ব্যাচের অ্যাম্বাসেডররা এসেছেন দেশের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয় যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (NSU), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP), আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (AUST) সহ আরও অনেক জায়গা থেকে। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রোগ্রামের উচ্ছ্বাস।
প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যাম্বাসেডররা মেন্টরশিপ, লিডারশিপ শেখা আর বাস্তবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। পাশাপাশি, সবাই পাবে স্পেশাল পাঠাও গিফট আর সার্টিফিকেট। যারা খুব ভালো করবে, তাদের জন্য থাকছে পাঠাও-তে সরাসরি ইন্টার্নশিপের সুযোগ!
পাঠাও সবসময়ই দেশের তরুণদের পাশে থেকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। আর তাই ক্যাম্পাস এলিভেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণরা যেন পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গোল নিশ্চিত করতে পারে, তারই চেষ্টা করছে পাঠাও। ইনোভেশন, টিমওয়ার্ক আর এগিয়ে চলার এই যাত্রায় পাঠাও পাশে থাকছে ভবিষ্যতের লিডারদের।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০- এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।