প্রতিবছরই হবে বাংলাদেশ স্টার্টআপ বাংলাদেশ সামিট। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৩১ জুলাই রাজধানী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী "স্টার্টআপ বাংলাদেশ সামিট ২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, স্টাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।
সামিটে ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজিং পোর্টাল ও ভবিষ্যতের উদ্যোক্তাদের জন্য কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড ও স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও করেছেন দেশের শীর্ষ স্টার্টআপদের সেবা প্রদর্শন এবং ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক নিয়ে দুই দিনে ৪০টি সেশন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইয়্যুথ কো ল্যাব স্টার্টআপ বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ইয়্যুথ কো-ল্যাব চ্যাম্পিয়ান পালকি মোটরস; প্রথম রানার্সআপ ড্রিম ওয়াটার এবং সেকেন্ড রানার্সআপ উই গ্রো উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন স্টার্টআপদের পুঁজি বাজারে তালিকাভূক্ত না হয়েও বিদেশী বিনিয়োগ প্রাপ্তির সুবিধা নিশ্চিত করে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দেশে নিতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে এই ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এটাতো বৈধ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তরা ডেভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইন সুযোগ পান বলে তিনি জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ফান্ড অব ফান্ডে বাংলাদেশেী কর্পোরেট ও বিদেশীরাও বিনিয়োগ করবে। এজন্য তিনি আইসটি বিভাগকে
উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রশংসা করে তিনি বলেন এখান থেকে ভবিষ্যতে ভালো ভালো উদ্ভাবনী উদ্যোগ বেরিয়ে আসবে। আমাদের তরুণরা যা করছে তা আশা জাগানিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আগামী বছর থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া স্টার্টআপ ব্রিজ, কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড এবং স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করেছেন। এসব ঘোষণা দিয়ে তিনি স্টার্টআপদের এগিয়ে নিয়েছেন। আমাদের তরুণরা তাদের উদ্বাবনী ধারণা দিয়ে বেশ ভালো করছে। আমরা পুল অব ট্যালেন্ট তৈরিতে মনোযোগী হয়েছি। তিনি বলেন স্টার্টআপরাই হবে দেশের স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহেমেদ জানিয়েছেন, প্রথম বারের মতো করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে ৭২ জন বিনিয়োগকারী, ৩ হাজার উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। তারা আমাদের তরুণদের সম্ভাবনা দিয়েছেন। আশা করি আগামী বছর আরো বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।