বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটিং ব্র্যান্ড আসুস প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে এআই প্রযুক্তি সমন্বিত কো-পাইলট প্লাস ল্যাপটপ। বিখ্যাত ট্রেড শো কম্পিউটেক্স ২০২৪ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আসুসের ‘অলওয়েজ ইনক্রেডিবল’ ভার্চুয়াল ইভেন্ট। এই ইভেন্টে উন্মোচিত করা হয় এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি আসুসের নতুন ল্যাপটপগুলো। এই ল্যাপটপগুলোর মধ্যে রয়েছে আসুসের প্রোআর্ট, জেনবুক এবং ভিভোবুক মডেলের ল্যাপটপ। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সুবিধাগুলো দিতে এবারের ল্যাপটপগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছে এআই সাপোর্টেড ফিচার এবং বিভিন্ন সলিউশন। এআই-চালিত উইন্ডোজ কো-পাইলট প্লাস, মাইক্রোসফ্টের এআই প্ল্যাটফর্ম, এআই স্ট্র্যাটেজি এবং ক্রিয়েটর সলিউশন রয়েছে এই ল্যাপটপগুলোতে। এই ফিচারগুলো ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরদের কাজ আরও সহজ করে তুলবে। ৪৫ প্লাস টিওপিএস এনপিইউ (টেরা অপারেটিং সিস্টেম নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট) পর্যন্ত এই ল্যাপটপগুলোতে কাজ করতে সক্ষম। ফলে, এই ল্যাপটপগুলো জটিল মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত কাজগুলো সমাধান করতে পারে সহজে।
আসুসের নতুন তিনটি প্রোআর্ট ল্যাপটপগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রোআর্ট পি১৬, পিএক্স১৩, এবং পিজেড১৩। পোর্টেবিলিটি এবং আধিক কর্মক্ষমতার কারণে এই ল্যাপটপগুলো ক্রিয়েটরদের জন্য উপযোগী। প্রসেসর হিসেবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে এএমডি রাইজেন এআই ৩০০ সিরিজ প্রসেসর এবং জিপিইউতে আছে এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স 40 সিরিজ। সৃজনশীল কাজ আরও নতুনত্বের সাথে সম্পাদন করতে ল্যাপটপটিতে আছে এআই-চালিত স্টোরিকিউব এবং মিউজট্রি অ্যাপ্লিকেশন। অন্যদিকে, আসুসের জেনবুক এস ১৬ ল্যাপটপটির মূল আকর্ষণ এর ডিজাইন এবং প্রযুক্তি। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাদের পছন্দ তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ল্যাপটপটি। আল্ট্রাপোর্টেবল এই ল্যাপটপটি মাত্র ১.১ সেমি হালকা এবং ওজনে ১.৫ কেজি। তাই যারা অনেক বেশি ট্র্যাভেল করে থাকে তারা এই ল্যাপটপটি সহজে বহন করতে পারবে। এএমডি রাইজেন এআই ৯ এইচএক্স ৩৭০ পর্যন্ত প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এতে। এছাড়া, আসুসের উদ্ভাবনে তৈরি করা সেরালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপটির উপরিভাগ অংশে এবং ডিজাইন করা হয়েছে জ্যামিতিক প্যাটার্নে। ভিভোবুক এস ১৫ ল্যাপটপটির মাধ্যমে আসুস প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে কোপাইলট প্লাস পিসি। ল্যাপটপটি আকারে পাতলা। এর প্রসেসরে আছে এআই-ফিচারের স্ন্যাপড্রাগনের সাথে এলিট প্ল্যাটফর্ম ফিচার। এছাড়া, এতে আছে উইন্ডোজ স্টুডিও এফেক্টস এবং আসুসের এআইসেন্স ক্যামেরা। ল্যাপটপটিতে প্রসেসর হিসেবে আছে এএমডি রাইজেন এআই ৯ এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর। ল্যাপটপটি যেমন ভালো পারফরম্যান্স দেয় তেমনি সিকিউরিটি ফিচারগুলোও নিশ্চিত করে।
এছাড়া, আসুস নিয়ে এসেছে দুটি স্টাইলিশ এবং পোর্টেবল গেমিং ল্যাপটপ– টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬। এই ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে এএমডি রাইজেন এআই ৯ এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর এবং এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৪০-সিরিজের জিপিইউ। এর গেমিং ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিএলএসএস সুপার-রেজোলিউশন, ফ্রেম জেনারেশন এবং রে রিকনস্ট্রাকশন যা নিশ্চিত করে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। দুটি ল্যাপটপেই আছে ২.৫কে রিজল্যুশন এবং ১৬৫ হার্টজের ডিসপ্লে। দৈনন্দিন কাজগুলোকে সহজ করতে, সৃজনশীল কাজগুলোর সুবিধা বাড়াতে এবং গেইমারদের জন্য এবারের আসুস ল্যাপটপগুলো। এআই প্রযুক্তি দিয়ে নানান সমাধান এবং এআই সাপোর্টেড চিপসেট এই ব্র্যান্ডেড ডিভাইসগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।