বর্তমানে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে, সফলতার গল্প লিখে যাচ্ছে প্রতিটা সেক্টরে। তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন এবং সেই সাথে তৈরি করে নিচ্ছেন নতুন আত্মপরিচয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারীদের সফলতা শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা মেলে হাজার হাজার সফল নারীদের। যারা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। বর্তমানে বাংলাদেশে নারীরা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সফল কর্মী কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নারীদের বিভিন্ন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি – র আয়োজনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ওমেন এম্পাওয়ারমেন্ট সামিট ২০২৩। দিনব্যপী আয়োজনটিতে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো স্টার্ট আপদের জন্য উদ্ভাবন, ফান্ড রেইজিং, কোন ধরনের স্কিল প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপুর্ন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যবহার, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাহিরের দেশে নিজের কোম্পানীকে এক্সপান্ড এবং একটি কোম্পানী লীড দিতে নারীদের কি ধরনের স্কিল থাকা দরকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
আয়োজনতিতে বক্তা হিসেবে ছিলেন, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস সলুশন আর্কিটেকচার লীডার মোহাম্মাদ মাহাদী-উজ-জামান, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)-র প্রেসিডেন্ট রেজওয়ানা খান এবং সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলা, এস আর ভেঞ্চার এন্ড কনসালটেন্সী-র ফাউন্ডার এন্ড সিইও সায়মা রহমান, বিডিওএসএনের সিইও কানিজ ফাতেমা, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সভাপতি হয়েছেন নাজনীন নাহার, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মো. মনির হোসেন, ক্লাউড এর সাবেক সল্যুশন লীডার ফারজানা রাহমান, দ্য কাও কোম্পানির ফাউন্ডার এন্ড সিইও কাওসার আহমেদ। বাংলাদশ ইনোভশন ফোরাম এর প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন _”আমাদের নারীরা প্রতিটা সেক্টরে ভালো করছে তাই সামনের দিন গুলোতে টেকনলোজির সাথে নিজেকে সবসময় আপডেট রাখাটা খুব গুরুত্বপুর্ন, তাই আমাদের এই সামিটের টপিক গুলো আমরা এমনভাবে সাজিয়েছি যেন স্টুডেন্ট, স্টার্টআপ, চাকুরিজীবি এবং উদ্যোক্তা সবার জন্য উপকারে আসে সেই সাথে আমরা আমাদের আশেপাশে অনেক সফল নারীদের দেখে থাকি এবং তাদের সফলতা আমাদের চোখে স্বাভাবিক মনে হয় কিন্তু তারাও অনেক চরাই-উত্রাই পার করেই আজকে এই অবস্থানে এসেছেন তাই কিভাবে প্রতিকুল অবস্থাকে পাশ কাটিয়ে সফল হওয়া যায় সেই জন্য আমাদের আজকের এই সামিট। আয়োজনটি সম্বন্ধে বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)-র প্রেসিডেন্ট রেজওয়ানা খান বলেন আমারা নারীরা সব কিছুই পারি কোন বাধা আমাদেরকে থামিয়ে রাখতে পারে না, বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ তাই প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে সমতার সঙ্গে অংশগ্রহণের চেষ্টা শুরু করতে হবে বাল্যকাল থেকেই। উৎসাহিত করতে হবে প্রযুক্তি উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনকে। “ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস সল্যুশন আর্কিটেকচার লীডার মোহাম্মাদ মাহাদী-উজ-জামান বলেন_” চাল-ডাল কেনা থেকে শুরু করে পুঁজি বাজারের খোঁজ-খবর_ সবখানেই কম্পিউটারনির্ভর বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে নতুন মাত্রা দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন প্রযুক্তি, ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হয়েছে। আর তা দারুণ অভিজ্ঞতা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)- র আয়োজনে আয়োজিত উক্ত সামিটে কো অর্গানাইজার হিসেবে ছিলেম উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এবং সহযগীতায় ছিলেন স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেড, সূর্যমুখী লিমিটেড এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট।